ফেসবুকে আপনার স্বীকৃতি

যে কেউ ইচ্ছা করলেই একটি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট বা পেজ তৈরি করে ফেলতে পারে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও অদ্ভুত নাম বা শব্দ দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করা যেত, কেউ কেউ আবার কিছুদিন পরপরই নিজেই নিজের নাম পরিবর্তন করতেন। আবার একই ব্যক্তি একাধিক নামে একাধিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আলাদা আলাদা বন্ধুতালিকা তৈরি করেন। ফেসবুকে ব্যক্তির সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হচ্ছে না, তাই নিজের একটি কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করে সেই কল্পনার জগতে থাকার চেষ্টা করছেন অনেকে। কখনো আবার অপরের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিশেষ সুবিধা নেওয়া বা ক্ষতির চেষ্টাও হচ্ছে না, এমন না।

ই-মেইলই যখন ঠিকানা

যেকোনো সময় বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠানোর সুবিধা দিয়েছে ই-মেইল। লেখার পাশাপাশি ছবি বা ভিডিও পাঠানোর সুযোগ করে দিয়ে যোগাযোগব্যবস্থায় রীতিমতো বিপ্লব তৈরি করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যবহারকারীকে নতুন এক ধরনের ঠিকানা দিচ্ছে ই-মেইল। অনেক ক্ষেত্রে এই ঠিকানাই ব্যক্তির পরিচয় হয়ে উঠছে। ই–মেইল ব্যবহারের আদ্যোপান্ত নিয়ে এবারের প্রতিবেদন।

হ্যাশট্যাগ ডিজিটাল দুনিয়ার কণ্ঠস্বর

হ্যাশট্যাগ হলো একধরনের মেটাডেটা ট্যাগ, যা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকসহ অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ট্যাগগুলো ব্যবহারকারীরা নিজেরাই তৈরি করে থাকেন এবং এই ট্যাগযুক্ত সব লেখা বা পোস্ট, ছবি, ভিডিও একত্রে খুঁজে পাওয়া ও প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। # চিহ্নটি যুক্তরাষ্ট্রে পাউন্ড চিহ্ন হিসেবে পরিচিত ছিল এবং সংখ্যা বোঝাতে এটি ব্যবহৃত হতো। অপর দিকে যুক্তরাজ্যে পাউন্ড চিহ্ন বলতে ‘£’ এবং ‘#’ চিহ্নটিকে বলা হতো হ্যাশ।

সেফটি সেন্টার নিরাপত্তার খুঁটিনাটি ফেসবুকেই

ফেসবুকে আমরা নিজেদের গল্পগুলো বন্ধু ও পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে দিই। একই সঙ্গে প্রতিনিয়ত জানতে পারি নতুন নতুন বিষয়। নিয়মিত যোগাযোগ হয় বহু মানুষের সঙ্গে। তবে বাস্তবতা হলো, সবাই আমাদের বন্ধু নয়। অনেকেই আছে যাদের মাধ্যমে ক্ষতি বা বিড়ম্বনায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফেসবুকও তা জানে। ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেসবুকে নিরাপদ থাকার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি এবং কোন পথ অনুসরণ করলে ক্ষতির আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়, এমন আরও অনেক বিষয় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ফেসবুক সেফটি সেন্টার। এখন বাংলাসহ ১০০টির বেশি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে এই তথ্যগুলো। আবার এই তথ্যগুলো অনুবাদের কাজে যেকোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীই যুক্ত হতে পারেন। ফেসবুক সেফটি সেন্টার পাওয়া যাবে www.facebook.com/safety ঠিকানার ওয়েবসাইটে। এখানে পাওয়া যাবে—

টেলিভিশনও এখন স্মার্ট

কয়েক বছরে ধরে স্মার্ট টিভির জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী। সহজভাবে বলতে গেলে, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে কম্পিউটারের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো যোগ করার মাধ্যমে এত দিনের পরিচিত টেলিভিশনগুলো হয়ে যাচ্ছে একেকটি স্মার্ট টিভি। চির চেনা টিভিগুলো প্রতিযোগিতা করতে শুরু করেছে অন্যান্য স্মার্ট বিনোদনের মাধ্যমের সঙ্গে।

সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করলেও টেলিভিশনের স্মার্ট হয়ে ওঠার চেষ্টা নতুন না। স্মার্ট টিভি সম্পর্কিত প্রথম পেটেন্ট করা হয় সেই ১৯৯৪ সালে।

 স্মার্ট টিভি কী?

সাধারণ টেলিভিশনের সঙ্গে স্মার্ট টিভির অন্যতম প্রধান পার্থক্য হলো স্মার্ট টিভি ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে। অন্যভাবে বলতে গেলে, কম্পিউটার, ফ্ল্যাট স্ক্রিন টেলিভিশন ও সেট টপ বক্সের একটি বিশেষ সমন্বয় হলো এই স্মার্ট টিভি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত এই স্মার্ট টিভিগুলোতে আরও নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজনের চেষ্টা করছে এবং বিভিন্ন সমন্বয়ের মাধ্যমে বাজারজাত করছে। প্রতিটি স্মার্ট টিভিতে বিশেষ একটি অপারেটিং সিস্টেম থাকে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ও বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা যায়।

পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ, তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ

অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা পাঠাও ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা এসএমএস, ফোন নম্বর (কনট্যাক্টস), অ্যাপ তালিকার মতো ব্যক্তিগত তথ্য তাদের সার্ভারে সংগ্রহ করছে—এমন অভিযোগের তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাঠাওয়ের তথ্য সংরক্ষণের যন্ত্রাংশ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অভিযোগকারী হিসেবে সিলেটের তথ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আশিক ইশতিয়াকের সঙ্গে রোববার কথা বলেছে ডিএমপি।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার আলীমুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। পাঠাওয়ের বেশ কিছু স্টোরেজ ডিভাইস (তথ্য সংরক্ষণের যন্ত্রাংশ) নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’ পুলিশ সূত্র জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ডডিস্ক বা তথ্য সংরক্ষণের অন্য কোনো যন্ত্রাংশ থেকে মুছে ফেলা তথ্যও পুনরুদ্ধার করা হয়।

ইন্টারনেটে ভালো থাকুন

ইন্টারনেটে ভালো থাকুন

মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য এখন সবচেয়ে মূল্যবান। ইন্টারনেটভিত্তিক প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই তথ্য সংগ্রহের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর এগুলোর মাধ্যমে কখনো সরাসরি, কখনো কৌশলে বা প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজটি করা হয়ে থাকে।
ই-মেইল, অনলাইনে কেনাকাটা, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিনোদন ও বিভিন্ন ধরনের কাজের মোবাইল অ্যাপের জনপ্রিয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

বর্তমানে প্রায় সব অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও অ্যাপলিকেশনে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। নাম, ই-মেইল, ফোন নম্বর থেকে শুরু হলেও প্রোফাইল হালনাগাদ করার সময় ব্যক্তিগত আরও বহু তথ্য উল্লেখ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর তথ্যগুলো কী কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার বর্ণনা থাকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতিমালায়। এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হলেই কেবল সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা এবং অ্যাপটি ব্যবহার করা উচিত। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী এই দীর্ঘ নীতিমালা পড়েন না। ইন্টারনেটে এমন সবকিছুর মধ্যেও নিরাপদ ও ভালো থাকতে কিছু ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

ফেসবুক হাতছাড়া হয়েছে?

বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগেরই ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিদিনের যোগাযোগ আর তথ্য আদান-প্রদান সহজ করে দিচ্ছে বলেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সঙ্গে বাড়ছে ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীলতা। আবার ফেসবুক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার প্রশ্ন থাকে বলে এই বিড়ম্বনা মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

অনেক ব্যবহারকারী আছেন যাঁরা নিজেদের নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পেয়েছেন। মানে সেই ব্যবহারকারীর নাম ও ছবি দিয়ে অন্য কেউ ভুয়া বা ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। আর তারকাখ্যাতি পাওয়া ব্যবহারকারীদের নামে যে কতশত ফেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার হিসাব রাখতেও আলাদা হিসাবরক্ষক দরকার। ইদানীং অ্যাকাউন্ট হাতছাড়া হওয়াটা বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার জানান, অ্যাকাউন্টে ঢুকতে লগ-ইন করতে পারছেন না। তবে লগ-ইন করতে না পারা মানেই যে অন্য কেউ সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে, এমন নয়। ‘ফেসবুক হ্যাক’ বর্তমান সময়ের একটি আতঙ্কের নাম।

ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ (OpenStreetMap)

ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ (OpenStreetMap) হলো একটি মুক্ত মানচিত্র। স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের ভিত্তিতে তৈরী হচ্ছে সমগ্র বিশ্বের এই মানচিত্রটি। শুধুমাত্র মানচিত্র তৈরীই নয় বরং সকলের ব্যবহার উপযোগী একটি তথ্য-উপাত্তের ভান্ডার তৈরীর লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পটি। প্রত্যেকেই যদি তার অবস্থানের চারিদিকে এবং তার পরিচিত স্থানগুলো মানচিত্রে যুক্ত করতে থাকে তবে এক সময় এটি এমন একটি মানচিত্র তৈরী হবে যেখানে পৃথিবীর সকল স্থানের সকল তথ্য উল্লেখ থাকবে।