মেসেঞ্জারে বার্তা আদান–প্রদানের বেলায় অপর প্রান্তেও একজন থাকেন, যার সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া হয়। এটি যে শুধু ফেসবুক প্রোফাইল থেকে চ্যাট করা হচ্ছে এমন নয়, বরং ফেসবুকের পেজগুলোতেও এই সুবিধা রয়েছে। কোনো ব্যবহারকারী যখন ফেসবুক পেজের সঙ্গে আলাপ করেন, তখন পেজের অ্যাডমিন থেকে কেউ তার জবাব দিয়ে থাকেন। তবে অ্যাডমিন ছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাব দেওয়ারও পদ্ধতি রয়েছে।
ফেসবুক পেজে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বার্তা পাঠানো হয়ে থাকে। নিয়মিত জিজ্ঞাসা করা হয়, এমন প্রশ্নগুলোর জন্য আগে থেকেই উত্তর নির্ধারণ করে রাখা যেতে পারে এবং প্রশ্ন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই চ্যাট করার কাজটি সম্ভব হয় রোবটের মাধ্যমে। এটি মেসেঞ্জার বট বা চ্যাট বট নামে পরিচিত। ২০১৬ সালের ফেসবুক তার চ্যাটবট প্ল্যাটফর্মটি চালু করে এবং নিয়মিতভাবে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজন করে চলছে।
মোবাইলের মেসেঞ্জার থেকে চ্যাটবট যুক্ত পাতাগুলো আলাদা তালিকায় দেখানো হয়। নতুন নতুন প্রকাশিত বটগুলোও পাওয়া যাব সেখানে। দেশের প্রায় সব মোবাইল সংযোগদাতাদের ফেসবুক পাতায় চ্যাটবট সক্রিয় আছে। তাদের সেবাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে সেখানে। স্বয়ংক্রিয় বট যদি প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারে, তবে সরাসরি কাস্টমার সাপোর্ট এজেন্টের সঙ্গে আলাপের সুবিধাও রয়েছে এখানে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসগুলো কোন রুটে যায় এবং কোনো স্থান নির্ধারণ করে দিলে নিকটবর্তী স্টপেজ আর বাসের নাম জানিয়ে দেয় DU MamaBot । কোরআন ও তাফসির সম্পর্কে জানা ও নিয়মিত পড়ার জন্য ব্যবহার করাতে পারেন (https://m.me/quranbotbd)। নিয়মিত সংবাদ জানার জন্য খুব সম্প্রতি মুক্ত হতে যাচ্ছে NewsHubBot। দেশ–বিদেশের বিষয়ভিত্তিক হালনাগাদ সংবাদ পাওয়া যাবে এই বটের মাধ্যমে। সংবাদের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি পড়ার সুবিধা পাওয়া যাবে এই বট থেকে। মেয়েদের সাধারণ স্বাস্থ্য, মনোসামাজিক বিষয়সহ আরও নানা বিষয়ে আলাপ করা যাবে মায়া বটের সঙ্গে । আবার স্টার সিনেপ্লেক্সের টিকিট কাটার জন্য তাদের পাতার https://m.me/MYCINEPLEX চ্যাটবট ব্যবহার করা যেতে পারে। সিনেমা, সময় ও সিটসংখ্যা নির্ধারণ করে টিকিট কাটা যাবে মেসেঞ্জার থেকেই।
প্রয়োজন অনুযায়ী এমন বিভিন্ন ধরনের চ্যাটবট তৈরি করা যায়। সাধারণ আলাপ বা প্রশ্নোত্তর, গ্রাহকসেবা, পণ্য বিক্রিসহ আরও বিভিন্ন কাজের চ্যাটবট তৈরি করা যায়। দেশের অন্যতম বড় টেলিটক অপারেটেসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পাতার জন্য চ্যাটবট ডেভেলপ করে দীর্ঘ সময় থেকে সেবা দিচ্ছেন নাসির খান। তিনি বলেন, পণ্য বা সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মেসেঞ্জারেই এখন কেনাকাটাসহ প্রায় সব ধরনের কাজ করা যাচ্ছে। অনলাইনে সেবার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলে ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের পাশাপাশি চ্যাটবট সংযোজন করা যেতে পারে।
Published at Prothom Alo on July 20 2019 https://www.prothomalo.com/technology/article/1606720/