গণিত উৎসবের মহাযজ্ঞ অনলাইনে

গণিত উৎসবের মহাযজ্ঞ অনলাইনে

স্কুলের মাঠে বিশাল এক সামিয়ানা, মাঠ জুড়ে কৌতুহল নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে কয়েক হাজার গণিত ও বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থী। সকাল সকাল পরীক্ষা দিয়ে শুরু হলেও দিনব্যাপী নানা আয়োজন থাকে এই সামিয়ানার মূল মঞ্চে এবং মাঠের বিভিন্ন অংশ। গণিত অলিম্পিয়াড মানে সবারই অভিজ্ঞতা ছিলো এমনই।

কিন্তু এবার গণিত অলিম্পিয়াডের ১৮তম আয়োজনে এসে বদলে গেলো সবই। ২০২০ সালের সবগুলো পর্বই আয়োজন করা হয় অনলাইনে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য এবছর অভিজ্ঞতা ছিলো একদমই নতুন। এমনকি আয়োজকদের দিক থেকেও এই অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই নতুন। 

আয়োজক হিসেবে প্রতিবছরই একটি লক্ষ্য থাকে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা বাড়ানোর। সেজন্য বছর বছর আঞ্চলিক উৎসবের ভ্যেনুর সংখ্যা এবং একই সঙ্গে আয়োজনগুলোর ব্যপ্তি বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত ৬৪টি জেলায় বাছাই পর্বের আয়োজন করা হয় এবং মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৫১ হাজারের বেশি। অনলাইনে আয়োজন করে সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া, ২০২০ সালের অনলাইন আয়োজনে নিবন্ধন করে ৬৯ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু। ২০২০-সালের উৎসবে প্রথম ধাপ অনলাইনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় হয়। কারণ অনলাইনে আয়োজন হলে সারাদেশের সকল স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য অংশগ্রহনের সুযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে। তবে এটাও ঠিক যে দেশের সকল স্থানের ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা একরকম নয় এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলের দক্ষতাও সমান হবে না। 

অনলাইনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পরেই এমন আয়োজনের চ্যালেঞ্জ, সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আয়োজক এবং শিক্ষার্থী, উভয়ের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার দেখা দেয়। শুরুতেই বোঝা যায়, আগের চাইতে এবারের আয়োজন হবে একদমই ভিন্ন। 

 

অনলাইনে নিবন্ধন দিয়ে শুরু

গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি অনলাইন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ শুরু করে। আয়োজনের প্রথম ধাপ নিবন্ধন। আগে তারিখ ঘোষণা হলে নিবন্ধনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে এসে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতো। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক অংশগ্রহণকারী হলেই নিবন্ধন বন্ধ করে দিতে হতো। অনলাইন আয়োজনে সেই বাধা থাকল না। যে কোন এলাকার যত ইচ্ছা শিক্ষার্থী এবার অংশ নিতে সুযোগ পায়। 

১০ জানুয়ারি থেকে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। গত বছরের তুলনায় নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ২০ হাজার। 

অনলাইন প্লাটফর্মটি তৈরির প্রতিটি ধাপেই হয় নতুন সব অভিজ্ঞতা। সাধারণত যে কোন অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একটি ইমেইল ঠিকানা বা কখনো মোবাইল নম্বর থেকে একটি মাত্র নিবন্ধন করার সুযোগ থাকে। তবে গণিত উৎসবে যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের অনেকেরই ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বা ইমেইল ঠিকানা হয়ত নেই। অনেকেই শিক্ষক বা অবিভাবকের মোবাইল বা ইমেইল দিয়ে নিবন্ধ করে। ফলে একই মোবাইল বা ইমেইল ঠিকানা থেকেই একাধিক নিবন্ধনের সুযোগ চালু রাখতে হয়েছে। যা টেকনিক্যালি একটি চ্যালেঞ্জ। প্রতি শিক্ষার্থীর ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড আলাদা করে আবারও শিক্ষার্থীদের ইমেইলে পাঠাতে হয়েছে। 

 

অলিম্পিয়াডের ধাপসমূহ

প্রথমেই ছিলো বাছাই পর্ব। বাছাই পর্বের মধ্য থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিয়ে হয় আঞ্চলিক পর্ব। আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীরা অংশ নেয় জাতীয় পর্বে। জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় ক্যাম্পের শিক্ষার্থী। সেখান থেকেই নির্বাচন করা হয় এবছর আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দল। 

বাছাই পর্বে নিবন্ধন করে ৬৯ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। তাই কারিগরি সবকিছু ব্যবস্থা করতে চিন্তা করতে হয়েছে এই ৬৯ হাজার সংখ্যাটি। 

 

প্রশ্ন তৈরী এবং পূর্বপ্রস্তুতি

অনলাইন অলিম্পিয়াডে প্রশ্ন নিয়েও ভাবতে হয়েছে নতুন করে। যেহেতু একই সময়ে সকল শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এবং পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ আছে, তাই প্রশ্নেও দরকার নতুনত্ব। একই প্রশ্ন সকলকে দেওয়া যাবে না। এজন্য প্রায় একই মানের বিপুল সংখ্যক প্রশ্ন সেট তৈরি করতে হয়েছে। এবারের আঞ্চলিক পর্বে ৪ ক্যাটাগরীর জন্য প্রায় ৭০০টি অনন্য প্রশ্ন তৈরী করা হয়েছিলো। ক্যাটাগরি, নিবন্ধনের অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য সয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা আলাদা প্রশ্ন সেট আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন কতটুকু কঠিন তার ওপর নির্ভর করে আলাদা মানও নির্ধারণ করা হয়েছিলো।

পুরো ব্যাপারটি যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে একদমই নতুন হিসেবে দেখা না দেয় এজন্য মূল অলিম্পিয়াডের আগেই একাধিক পরীক্ষামূলক অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। একধরনের ড্রেস রিহার্সালের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন কারিগরি দিকগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়, প্রস্তুত হতে পারি আমরাও। 

 

কারিগরি চ্যালেঞ্জ

পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই চাইলে একজন শিক্ষার্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে থাকতে পেরেছে। লগ ইন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ব্রাউজারটি সার্ভারে শনাক্ত করে রাখা হয়, যাতে ওই শিক্ষার্থীর পরবর্তী সকল কার্যক্রম সংরক্ষণ করা যায়। একই সময়ে একজন শিক্ষার্থী যদি একাধিক ডিভাইস থেকে অংশ নেয়, সে সুযোগও ছিলো। একজন শিক্ষার্থী লগ ইন করার পরে নির্ধারিত সময়ে তার স্ক্রিনে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন সেট দেখতে পায়। সে যতগুলো ডিভাইস থেকেই লগ ইন করুক ওই একই প্রশ্ন সেটই সে দেখতে পায়। কারিগরি দিক দিয়ে এমন সুযোগ বাড়তি লোড তৈরি করে। 

সবাইকে একই প্রশ্ন সেট দেওয়াটা কারিগরি দিক দিয়ে ছিলো অনেক বেশি সুবিধাজনক। কিন্তু সকল শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন করতে এত বেশি সংখ্যক প্রশ্ন সেট দেওয়া হয়। এতে করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে রাখা, এবং সার্ভারে একজন শিক্ষার্থীর উত্তর তার নামেই তাৎক্ষণিক সংরক্ষণ করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বারবার পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া কারিগরি দিক দিয়ে ছিলো বড় চ্যালেঞ্জের। 

প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আলাদাভাবে জমা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেটের সমস্যা হতে পারে, কোনো কারণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, এমন ভাবনা থেকেই আলাদভাবে উত্তর জমা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। একটা প্রশ্নের উত্তর জমা দেওয়ার পরে সেটি পরিবর্তনেরও সুযোগ দেওয়া হয়। এগুলোও ছিলো কারিগরি দিক দিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। 

 

অনলাইন কন্টেস্ট প্লাটফর্ম

৬৯ হাজার শিক্ষার্থী সবাই একই সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে লগইন করে অংশগ্রহন করবে। অনলাইনে হচ্ছে বলেই একাধিক ডিভাইস থেকে একই সময়ে লগইন করার চেষ্টা করতে পারে। নিবন্ধন করেনি এমনও অনেকে লগইন করার চেষ্টা করতে পারে। ফলে অনলাইন অ্যাপলিকেশনের ট্রাফিক ৬৯ হাজারের থেকে অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতো বিপুল পরিমাণ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ যেখানে প্রত্যেকের তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, এই ধরনের কাজ নিয়মিত করতে হয় এমন নয়। 

অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে গিয়ে এই চ্যালেঞ্জের সমাধানে সম্ভাব্য প্রায় সব পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়। এমনকি প্রথম দফায় এক মুহুর্তে বিপুল ট্র্যাফিকের কারণে প্ল্যাটফর্মটি সফলভাবে কাজ করেনি। অ্যাপলিকেশন এবং সার্ভারের প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে টিউন করে এই বিশাল কনকারেন্ট ট্রাফিকের উপযোগী করে তৈরী করা হয়। 

অলিম্পিয়াডের জন্য এই অ্যাপলিকেশনটি তৈরী করা হয়েছে  পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং ডাটাবেজ হিসেবে মাইএসকিউএল ব্যবহার করে। পাশাপাশি অ্যাপলিকেশনের বিভিন্ন অংশে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এমন বিশাল পরিমাণ ট্রাফিকের উপযোগী অ্যাপলিকেশন তৈরীর ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যপলিকেশনটি কেমন ভাবে তৈরী করা হলে আমরা সফল ভাবে  সকলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারবো তা নিয়ে বেশ গবেষণাই চালাতে হয়েছে বলা যায়। 

অ্যাপলিকেশনে ট্রাফিক বাড়তে শুরু করলে একটি সমাধান হলো সার্ভারের রিসোর্স বাড়ানো, অর্থাৎ আরও উচ্চ ক্ষমতার প্রসেসর ও আরও বেশি র‌্যাম বা মেমরী যুক্ত করা। সেখানেও সমাধান না হলে উচ্চ ক্ষমতার একাধিক সার্ভার যুক্ত করা। এরপর অ্যাপলিকেশন ও ডাটাবেজ আলাদা সার্ভারে রাখা হয়, প্রয়োজনে একাধিক অ্যাপলিকেশন সার্ভার ও একাধিক ডাটাবেজ সার্ভার ব্যবহার করা হয়। সেখানেও সমাধান না হলে আলাদা ক্যাশ সার্ভার, কিউ (queue) সার্ভার যুক্ত করা হয়। লোড ব্যালেন্সারের মাধ্যমে সয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হয় কোন সার্ভার কখন ব্যবহার করা হবে। সার্ভার কনফিগারেশন পরিবর্তনের সাথে সাথে অ্যাপলিকেশনেরও পরিবর্তন করতে হয়। শুধুমাত্র যে কতগুলো সার্ভার থাকবে তা নিয়ে যাচাই করা হয়েছে এমন নয় বরং আমরা বেশ কয়েকটি দেশি ও বিদেশি ক্লাউড সার্ভার, সার্ভিস ও অন্যান্য ধরনের সার্ভারে যাচাই করেছি। 

আমরা এমন নানা ধরনের সার্ভার ও অ্যাপলিকেশন কনফিগারেশন তৈরী করেছি এবং একাধিক লোড  টেস্টিং (load tesing) অ্যাপলিকেশন দিয়ে সেগুলো যাচাই করেছি, যাচাই করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাও আয়োজন করা হয়েছিলো। তবে অলিম্পিয়াডের জন্য প্রয়োজনীয় ফলাফল পাচ্ছিলাম না। এজন্য একাধিকবার একেবারে নতুন করে প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে। অলিম্পিয়াডের নির্ধারিত সময়ে কী কী বৈশিষ্ট সক্রিয় থাকবে তা একটি করে যুক্ত করে আমরা লোড টেস্ট করছিলাম। সর্বশেষ যে সংস্করণটি আমরা ব্যবহার করেছি সেখানে আমরা ১ লাখ শিক্ষার্থীর একই সঙ্গে ব্যবহারের লোড দিয়েও সফল হয়েছি। অর্থাৎ আমাদের বর্তমান অ্যাপ্লিকেশনটি একই সঙ্গে ১ লাখ শিক্ষার্থীর অলিম্পিয়াড আয়োজনে সক্ষম। 

 

ফলাফল ও সার্টিফিকেট

অনলাইন পোর্টালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে, যে কোন শিক্ষার্থী তার প্রোফাইলে ঢুকে গণিত অলিম্পিয়াডে তার অংশগ্রহণের তথ্য দেখতে পারে। প্রত্যেকের ফলাফল, অংশগ্রহণ সার্টিফিকেট, বিজয়ীর সার্টিফিকেট ইত্যাদি সবই তার প্রোফাইলে সংরক্ষণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাইলেই লগ ইন করে তা দেখে নিতে পারে, সার্টিফিকেটটির পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারে। 

একই সঙ্গে ফলাফল তৈরিতেও বিশেষ সুবিধা পাওয়া গেছে। যেহেতু সকল উত্তরপত্রের ডিজিটাল কপি ছিলো, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর তুলনা করে, কোন একটা প্রশ্নের উত্তর কতজন সঠিক দিতে পেরেছে ইত্যাদি নানা বিষয় বিবেচনা করে ফলাফল তৈরির সুযোগ পাওয়া গেছে। 

 

আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্ব

বাছাই পর্বে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিতে আগে থেকেই অনলাইনে আয়োজন করা হলেও আঞ্চলিক আর জাতীয় পর্ব আয়োজন করতে হয়েছে একরকম বাধ্য হয়েই। কারণ ততদিনে করোনা মহামারী শিক্ষার্থীদের ভেন্যুতে উপস্থিতির সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আঞ্চলিক আর জাতীয় পর্বও আয়োজন করতে হয়েছে অনলাইন। 

সব মিলিয়ে এত বিশাল আকারে অনলাইনে অলিম্পিয়াড আয়োজন  আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। তবে অ্যাপলিকেশন তৈরী, পরীক্ষা পদ্ধতি নির্ধারনসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছি। এখন আমরা এমন বড় পরিসরে নিয়মিত অনলাইন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। 

 

অংশ নেওয়া শীক্ষার্থীর সংখ্যা

মোট নিবন্ধন

৬৯১৯০

মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

১০৫৯৭

মোট বিভাগ

মোট জেলা

৬৪

মোট উপজেলা

৪৫৩

 

লেখক: নাসির খান, কারিগরি সমন্বয়ক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি

Related Articles