হ্যাশট্যাগ হলো একধরনের মেটাডেটা ট্যাগ, যা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকসহ অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ট্যাগগুলো ব্যবহারকারীরা নিজেরাই তৈরি করে থাকেন এবং এই ট্যাগযুক্ত সব লেখা বা পোস্ট, ছবি, ভিডিও একত্রে খুঁজে পাওয়া ও প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। # চিহ্নটি যুক্তরাষ্ট্রে পাউন্ড চিহ্ন হিসেবে পরিচিত ছিল এবং সংখ্যা বোঝাতে এটি ব্যবহৃত হতো। অপর দিকে যুক্তরাজ্যে পাউন্ড চিহ্ন বলতে ‘£’ এবং ‘#’ চিহ্নটিকে বলা হতো হ্যাশ।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন ভাষায় এই চিহ্নটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছ। ১৯৭০–এর সময় থেকে পিডিপি-১১ মিনি কম্পিউটারের অ্যাসেমব্লি প্রোগ্রামিং ভাষা, ১৯৭৮ সালে তৈরি করা সি-প্রোগ্রামিং ভাষায়ও # ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে হ্যাশট্যাগের সর্বাধিক ব্যবহার দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ক্রিস মেসিনা প্রথম টুইটারে এর প্রস্তাব করেন। টুইটারে এই বৈশিষ্ট্যটি চালু করার পরপরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং ধীরে ধীরে অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও এটি ব্যবহার শুরু করতে থাকে। যদিও ১৯৮৮ সালে দিক থেকেই # চিহ্নটি আইআরসি চ্যাটিং মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হ্যাশট্যাগ লেখার সর্বজনীন কোনো নীতিমালা না থাকলেও প্রায় সব জায়গাতেই হ্যাশট্যাগগুলো # চিহ্ন দিয়ে শুরু হয় এবং এরপর কোনো স্পেস ছাড়া একসঙ্গে এক বা একাধিক শব্দ বা বাক্যাংশ লেখা হয়ে থাকে। ইংরেজিতে লেখার সময় বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে লেখা হয় সাধারণত হ্যাশট্যাগটি পড়ার সুবিধার জন্য কিন্তু কারিগরি দিক থেকে “#hashtag” এবং “#HashTag” একই অর্থ বহন করে।
নাসির খান
Published on Prothom Alo on November 26, 2018. https://www.prothomalo.com/technology/article/1566811/